পুলিশ বলছে, চাচাতো বোনের সাথে সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার ভাইয়েরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক তরুণকে।
ছেলেটির শরীর থেকে দুটো হাত কেটে নেওয়া ও দুটো চোখই উপড়ে ফেলার পর তার মৃত্যু হয়।
শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি মেয়েটির পরিবার। তারা ঐ ছেলের বাবার দুটো পাও কেটে দিয়েছে।
লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ঈদের দিন সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর থানার চরপাথালিয়া গ্রামে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, জমিজমা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। প্রেমের সম্পর্ক সেই আগুনে ঘিয়ের মতো কাজ করেছে।
বাংলাদেশে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করো দুটো পরিবারের মধ্যে বিরোধের ঘটনা ঘটলেও একই পরিবারের মধ্যে এরকম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয় একটি পরিবারের বড় ভাই লায়েক মোল্লার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো ছোট ভাইয়ের ছেলে শাহীন মোল্লার। কিন্তু বড় ভাইয়ের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, এই সম্পর্ককে কেন্দ্র ঘরে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। গতকাল বড় ভাইয়ের ছেলেরা শাহীন মোল্লাকে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে দাও ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে তার দুই চোখও তুলে ফেলে তারা।
পরে ছেলেটিকে চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় আনার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে ছেলেটির মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায় মেয়েটির পরিবার ছেলেটির পিতা শওকত আকবর মোল্লারও দুটো পা-ও কেটে ফেলেছে।
বর্তমানে তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে ঘটনাটি পূর্ব-পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। কারণ হামলার আগে ছেলেটির পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।
এই হত্যাকাণ্ডের এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা সবাই পলাতক রয়েছেন।